চুরির মামলায় নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ফাসানোর চেষ্টা ব্যর্থঃ ৮ মাস পর জনতার হাতে আসল চোর আটক

মোহাম্মদ ইউনুছ: রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৮ মাস আগে চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে অবশেষে জনতার হাতে আসল চোর ধরা পড়ায় প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে গতকাল বুধবার। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ-মিয়ানমার থেকে আগত আব্দুল
আমিন, পিতা মৃত মোঃ ইলিয়াস নামের এক ব্যক্তি ৮ মাস আগে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে কাপড় চোপড় সহ অনেক মুল্যবান জিনিস চুরি করে। চুরিকৃত মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময নতুন তিতার পাড়া এলাকার মোজাফ্ফর মাস্টারের ছেলে আলা উদ্দীন টিপু এ চোরকে পাকড়াও করে কিছু মালামাল উদ্ধার করে স্থানীয় ইউ.পি মেম্বারকে অবহিত করে। তখন থেকে উক্ত মালামাল গুলো মেম্বার হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু এ ঘটনাকে পুঁজি করে কচ্ছপিয়ার নতুন তিতার পাড়া গ্রামের ভূমি দস্যু নৌ বাহিনীর নাম ব্যবহারকারী আবুল কালাম আজাদের ইন্ধনে পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে একই এলাকার মোঃ কালুর পুত্র হাফেজ নুরুল হক বাদী হয়ে আলা উদ্দীন টিপুকে অভিযুক্ত করে রামু থানায় এজাহার দায়ের করে। এ ঘটনার পর সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদের পেটোয়া বাহিনীর সদস্য কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সিহাব উদ্দীন এ ঘটনা নিয়ে মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন করায় আল উদ্দীন টিপু কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। গতকাল জনতার হাতে আসল চোর আব্দুল আমিন জনতার হাতে পাকড়াও হলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
এ সময় কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সাবেকুন নাহার বলেন, আটককৃত চোর ব্যক্তি কে তিনি বিভিন্ন কবর স্থানে অহেতুক ঘোরা ফেরা করতে দেখেছেন অনেক সময়।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জয়নাল আবেদীন জানান, আটককৃত ব্যক্তিই তাদের ইউনিয়নের বাড়িগুলো থেকে কাপড় সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করেছিল। কিন্তু আলা উদ্দীন টিপুকে অভিযুক্ত করে যারা থানায় এজেহার দায়ের করেছে সেটা সঠিক নয়। এ বিষয়ে বাদি হাফেজ নুরুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্দ পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জনতা কর্তৃক আটককৃত চোর আব্দুল আমিন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে আটক ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন