সাইফুল ইসলাম চৌধুরী
টেকনাফ পৌরসভার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লাইসেন্স
প্রদানে ঘুষ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ দিন স্বপদে থেকে ঐ কর্মকর্তা ঘুুষ গ্রহন,
অনিয়ম, দূর্নীতি করে আসলেও বহাল তবিয়তে তার অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কিছুদিন আগে উপজেলা আইন
শৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলার
বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স/নিবন্ধন করার গুরুত্বারোপ করে মাইকিং করা হয়। তারই সূত্র
ধরে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মোঃ ইলিয়াছের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম তার মালিকানাধীন
২টি ফিশিং ট্রলারের যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে ও দলিলপত্র নিয়ে পৌরসভার কর আদায়কারী প্রবীর
পালের কাছে যায়। সে মেয়রের অনুমতি নেওয়ার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র গ্রহন করে এবং মেয়র
তা অনুমোদন দেয়। কিন্তু কর আদায়কারী প্রবীর পাল লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত
১০হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন।
অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকারী নির্ধারিত
ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা দাবীর রশিদ দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে লাইসেন্স দিতে অপারগতা
প্রকাশ করে। কিন্তু সরকারী বিধি মোতাবেক পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্যানেল-২ যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে লাইসেন্স প্রদানের নির্দেশ
দিলেও উক্ত কর্মকর্তা দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় লাইসেন্স নিতে পারি নাই। তাই এদূর্নীতিবাজ
কর্মকর্তাকে অপসারণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কর আদায়কারী প্রবীর পাল তার বিরুদ্ধে
আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করে বলেন, ঐ ফিশিং বোটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। তাই
লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। আদালত কর্তৃক লাইসেন্স নবায়ন না করার জন্য কোন পত্র পাঠিয়েছে
কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে রকম কোন কাগজপত্র পাইনি। কিন্তু বিষয়টি আমি ব্যক্তিগত
ভাবে জানি। সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে তার সাথে দেখা করতে বলেন।
এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্যানেল-২ আবদুল্লাহ মনিরের সাথে যোগাযোগ
করা হলে তিনি বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইর পর ৪৫০/ টাকা কর আদায় করে
লাইসেন্স প্রদানের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু কি কারণে তাকে লাইসেন্স প্রদান করা
হয় নাই তা খতিয়ে দেখা হবে।