গর্জনিয়ায় পবিত্র রমজান মাসেও মাদক ব্যবসা থেমে নেই, প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা

মোহাম্মদ ইউনুছ: রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে পবিত্র রমজান মাসেও মাদক ব্যবসা থেমে নেই। পাশাপাশি মাদক বিক্রির স্পটের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের টিলার উপর জুয়ার আসরও চলছে সমান তালে। গর্জনিয়ার রাজঘাট এখন মাদকের ঘাটি হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করলেও পুলিশ কিংবা
সংশ্লিষ্ট প্রসাসনের এই মাদক ব্যবসা বন্ধে প্রয়োজনিয় হস্থক্ষেপ না থাকায় পবিত্র রমজান মাসেও অবৈধ এ ব্যাবসা চলছে দেদারছে। সকাল, বিকাল,এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত এ ব্যাবসার যেন শেষ নেই।
এখানকার মাদক বিক্রেতারা নিয়মিত দেশীয় তৈরি চোলাই মদ, গাজা ও হেরোইন সহ বিভিন্ন নেশাজাত দ্রব্য নিজ বাড়িতে এনে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। এ ব্যবসার সাথে স্থানীয় গুটিকয়েক মহিলা ও তাদের পারিবারিক পূরুষরা জড়িত। মূলত পূরুষরা মহিলাদের নিরাপদ মনে করে এ ব্যবসায ব্যবহার করছে। অল্প সময়ের মধ্যেই মাদক ব্যবসার জগতে মহিলা ডন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে রাজঘাটের শারিরীক প্রতিবন্ধী মোঃ কালুর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (৩২), কালুর ভাই নুরুল ইসলাম প্রকাশ পিন্টুর স্ত্রী শাহানুর বেগম(২৪) ও শাহানুর বেগমের বাবা নুরুছুলো (৫০)। খোজ নিয়ে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা মহিলাদের মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে গাজা ও হেরোইন নিয়ে এসে এখনে ব্যবসা করছে। এদিকে উল্লেখিতদের বাসায় মাদক সেবনের পর স্থানীয় বক্তার আহামদের বাসায় ও পাশ্ববর্তী পাহাড়ের ঢালুতে বসে জুয়ার আসর। এ যেন স্বর্গ সুখের সন্ধানে নরক যাত্রা।
গর্জনিয়ার একাধিক সচেতন মহল জানান, গর্জনিয়া ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকাটি বিচ্ছিন্ন থাকলেও বর্তমানে সেখানে বেশ কয়েক পরিবারের ছেলে মেয়ে প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসা ও হাই স্কুল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। কিন্তু মদকাসক্ত ও জুয়াড়ীদের অত্যাচারে এসব শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার পথে। অনেকের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে, বিকাল ৫টার পর থেকে এখানে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, যুব সমাজ সহ আগন্তুকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। তারা সেখানে  মাদক সেবন, জুয়া সহ গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে। গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কয়েকজন মেধাবী ছাত্রী  নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, তারা সীমাহীন নিরাপত্তহীনতার মাঝে দিনাতিপাত করছে। সন্ধ্যা হলেই তাদের মধ্যে এক অজানা আতংক ভর করে। ফলে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে তাদের দূর্ভোগের শেষ নেই। এলাকার এমন পরিস্থিতির পরও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ভূমিকাও রহস্য জনক ও প্রশ্নবিদ্ধ। প্রভাবশালী মহলের উন্ধনেই মূলতঃ এ ব্যবসা চলছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন। তা  না হলে মাদক ব্যবসায়ীরা এমন বেপরোয়া হওয়ার কখনও সুযোগ পেতনা। রাজঘাট এলাকার এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বার বার নিষেধ করার পরও তারা এসব বন্ধ না করে উল্টো হুমকি প্রদান করে। এ মাদক স্পটের অতি কাছে একটি মসজিদ রয়েছে। সেটার পবিত্রতার কথা পর্যন্ত তারা চিন্তা করেনা।
এদিকে এলাকার সর্বস্থরের মানুষ অতি শিঘ্রই উক্ত মাদক ব্যবসা বন্ধ ও বিক্রেতাদের গ্রেপতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্থি প্রদান করে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য  সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন