ইব্রাহীম খলিল
কক্সবাজারের রামুর ঈদগড়- ঈদগাঁও -বাইশারী সড়ক দিয়ে
পুলিশের নাগের ডগায় প্রতিদিনি বাংলা মদ পাচার হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ ঈদগড় বৈদ্যপাড়া
এবং বাইশারী গোল্ডেন পাড়া এলাকার চিহ্নিত কিছু রাখাইন তরুনী এ পাচার কাজে জড়িত। তারা
ইতি পূর্বে বহুবার ঈদগড় পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও এখন রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এলাকার
সুশীল সমাজ অভিযোগের সহিত জানান, বর্তমানে পুলিশের সাথে এদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।
দৈনিক উৎকোচ নিচ্ছে পুলিশ এদের কাছ থেকে এমন অভিযোগও জানান, এলাকার সচেতন মহল। তাই
নির্ভিঘেœ এসব মদের চালান পাচার করছে রাখাইন তরুনীরা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, উল্লেখিত
এলাকা গুলোতে প্রতিদিন বাংলা মদ তৈরী হয়। আর তৈরীকৃত ঐ বাংলা মদ ব্যবহৃত বড় স্যালাইন
প্যাকেট গুলোতে ভর্তি করে চিহ্নিত ঐ রাখাইন তরুনীরা প্রতিদিন বাইশারী থেকে আসা সকাল
সাড়ে ৭ টা, ৮টা,৯টার হিললাইন বাস এবং সিএনজিতে
করে যাত্রী বেশে উঠে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঈদগাঁও সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাচার করতেছে।
অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, সংঘবদ্ধ ২/৩টি রাখাইন তরুনীদের দল জড়িত রয়েছে মদ পাচারে।
আর এসব তরুনীরা খুব সুন্দর, স্মার্ট, আধুনিক। এসব তরুনীরা তাদের ব্যবহারের বড় বড় হাত
ব্যাগ গুলোতে মদ ভর্তি স্যালাইন প্যাকেট নেওয়ার পর তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে চিকন
রশি দিয়ে উক্ত মদ ভর্তি স্যালাইন প্যাকেট বেঁেধ নেয়। জনৈক এক রাখাইন তরুনী জানান, শরীরের
বিভিন্ন জায়গায় তারা ২০/২৫ টি মদ ভর্তি স্যালাইন প্যাকেট নিতে পারে এবং ঐ পদ্ধতিতে
সহজেই ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের দুইটি পুলিশ চেক পোর্ষ্ট
ফাঁকি দিয়ে পাচারও করা যায়। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৫ শত ব্যাগের বেশী বাংলা মদ পাচার
করছে রাখাইন তরুনীরা। জানা যায়, ঈদগাঁও এলাকায় এদের পার্টনারেরা অপেক্ষায় থাকেন এরা
ঈদগাঁওতে না পৌছাঁ পর্যন্ত। যদিও কোন সময় ধরা পড়ে বিভিন্ন তদবির করে এবং তাৎক্ষনিক
মোটা অংকের টাকা ব্যবহার করে ছাড়া পেয়ে যায় এসব পাচারকারীরা। তাই বর্তমানে মদ পাচার
অব্যাহত রয়েছে। এভাবে মদ পাচার অব্যাহত থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দেশের প্রশাসন
কোথায় ? অন্যদিকে ঈদগড় এলাকার চরপাড়া এলাকার ২নং গেইট, পূর্বরাজঘাটা, ঘিলাতলী, ঈদগড়
বাজার বড় পুকুর পাড়, জিপ ষ্টেশন, মাছ বাজার, চাইল্যাতলী, চাথোই পাড়া সহ আ্েরা বিভিন্ন
এলাকায় বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি অব্যাহত থাকলেও প্রশাসন নিরব। এছাড়াও এলাকায় ভাড়ায়
চালিত মোটর সাইকেল যোগেও মাদক দ্রব্য পাচারের গুঞ্জন রয়েছে। তাই সত্বর এই সব বিষয়ে
প্রশাসনিক নজরদারী বাড়ানোর জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা
করছেন। এ ব্যপারে ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্প আইসি জানান, ক্যাম্পে মহিলা পুলিশ না থাকায় অনেক
সময় এসব তরুনীদের শরীর চেক হয়না।