শাহপরীর দ্বীপের মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তি

ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাব

টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ ও পূর্ণিমার জোয়ারে  শাহপরীর দ্বীপ জনচলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বিলীন থাকায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। দ্রুত মেরামতের পদক্ষেপ না নিলে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ভূক্তভোগী সূত্রে জানাযায়-সীমান্ত জনপদ টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার একমাত্র জনচলাচলের সড়কটি জোয়ারের পানিতে ডুবে রয়েছে। সড়কের ভরাখাল নামক স্থানের একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। কালভার্ট থেকে দক্ষিণ দিকে উত্তরপাড়া পর্যন্ত আধা কিলোমিটার পাকা সড়ক জোয়ারের পানিতে ডুবে রয়েছে। কালভার্ট থেকে উত্তর দিকের আড়াই কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ক্ষত ও ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। লোকজনকে নৌকায় চড়ে শাহপরীর দ্বীপ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে কাটাবুনিয়া গ্রামে যেতে হচ্ছে। সেখান থেকে যানবাহন যোগে টেকনাফ সদরে যাতায়াত করছে। সপ্তাহ খানেক আগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরে পানি বৃদ্ধি এবং পূর্ণিমা তিথির কারনে জোয়ারের বেগ বেড়ে যাওয়ায় অধিক পানির কারনে রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা ডুবে গেছে। এখন লোকজনকে নৌকায় চড়ে টেকনাফ আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অত্র এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ ও রাস্তা-ঘাট মেরামতে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আসন্ন বর্ষায় মানবিক বিপর্যয় হতে পারে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কক্সবাজার অফিস সূত্র থেকে জানানো হয়-ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এবং জোয়ারের পানিতে শাহপরীর দ্বীপ-টেকনাফ সড়কের একটি কালভার্টসহ প্রায় আড়াই কিলোমিটার পাকা সড়ক স¤পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ সংস্কার না করলে ভাঙ্গা সড়কও মেরামত করা সম্ভব হবে না। এতে সরকারি টাকার অপচয় হবে।
পাউবোর পক্ষ থেকে জানানো হয়-শাহপরীর দ্বীপকে সাগরের প্রবল জোয়ারের কবল থেকে রক্ষার জন্য ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ প্রতিরক্ষার জন্য প্রায় এক কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। 
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান এই ব্যাপারে বলেন-আমরা আল্লাহর ওয়াস্থে খোলা জায়গায় বেঁচে আছি। এই এলাকার লোকজন টেকনাফ যেতে নৌকা/স্টীমার ছাড়া ২/৩টি সিএনজি বদল করতে হয়। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় শাহপরীর দ্বীপ এলাকার ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বেশী কষ্টে আছি। শাহপরীর দ্বীপ এলাকার চৌকিদার উলা মিয়া বলেন-বাজিরে আরা চলাফিরায় বেশী কষ্টে আছি। আল্লাই জানে হত্তে আরার বিপদ কাটি যাইব। 
বর্তমানে শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মানুষের যে চরম ভোগান্তি তা দ্রুত মেরামত সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আসন্ন বর্ষায় মানুষের জানমালের নিশ্চয়তা থাকবেনা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন