হারবাং বাজারের ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ন!

স্টাফ রিপোর্টার: চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে হারবাং বাজার সংলগ্ন পাকিস্তান আমলে নির্মিত ব্রীজটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে।  যে কোন মহূর্তে ব্রিজটি ভেঙ্গে গিয়ে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি হারবাং বাজার ও ইউনিয়ন বাসির সাথে উপজেলার অন্যান্য এলাকার মধ্যে যানবাহন চলাচলও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে ফলে ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার
মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছবে। জানাগেছে চট্টগ্রাম-কক্্রবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলাধীন হারবাং বাসস্টেশন থেকে তৎকালীন পাকিস্তান আমলে চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকার সাথে যাতায়তের জন্য নির্মিত হয়ে ছিল হারবাং-বারবাকিয়া সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ গাড়িতে করে উপকূলীয় এলাকায় যাতায়াত করতো। পরবর্তীতে ১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-মগনামা সড়ক নির্মিত হওয়ার পর এ সড়কটি দিয়ে মানুষের যাতায়ত বন্ধ হয়ে গেলে যানবাহন চলাচল থেমে গিয়ে সড়কটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। তখন বাস ষ্টেশন থেকে হারবাং বাজার পর্যন্ত এ সড়কটি সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে। বাস ষ্টেশনের ১ কিঃ মিঃ পশ্চিমে এ সড়কের বাজার সংলগ্ন এলাকায় হারবাং ছড়ার উপর ১৯৬৭ ইং সালে তৎকালিন হারবাং ইউ.পি চেয়ারম্যান ও প্রয়াত সাংবাদিক আমান উদ্দিন খান বাবুর পিতা- মরহুম শামসুল হুদা চৌধুরী প্রকাশ লাতু মিয়ার আমলে ৩০ ফুর্ট দৈঘ্য এ ব্রীজিটি নির্মিত হয়েছিল। প্রতিদিন অর্ধশতাদিক হালকা ও ভারি যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করত। বিশেষ করে হালকা যানবাহনের জন্য এ ব্রীজটি নির্মিত হলেও মালবাহী ভারী ট্রাক হারবাং বাজারে প্রবেশ করাতে ব্রীজটি বর্তমানে ধ্বসে গেছে ও বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছর পূর্ব থেকে এ ব্রীজের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন প্রবেশে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গাড়ী চালকেরা তা না মেনে প্রতিদিন ভারী যানবাহন এ ব্রীজের উপর দিয়ে বাজারে প্রবেশ করাচ্ছে। ফলে ব্রীজটি ভেঙ্গে গিয়ে যে কোন মুহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বর্তমানে ব্রীজের দুই পার্শ্বের রেলিংও ভেঙ্গে নিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুই পার্শ্বের গাইড ওয়ালের ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জন স্বার্থে এ ব্রীজের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করা এবং একটি নতুন ব্রীজ নির্মণ করা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসীর দাবী। অপরদিকে এ সড়কে হারবাং ভূমি অফিস সংলগ্ন এলাকায় ১৯৯৭ সালে বন্যার পানির তোড়ে প্রায় ১০০ ফিট মত সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ঘড়বাড়ি ভেসে গেছে। এতে এলাকাবাসীর যাতায়তের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে হারবাং বাজারের সাথে ওই এলাকার জমিদার পাড়া, শিকদার পাড়া, বাজার পাড়া, মছনীয়া কাটা, প্রহরচান্দা, ভাইয়াকাটা এলাকার হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে থাকে। বর্তমানে সড়কের ওই স্থানে ভাঙ্গা জায়গা দিয়ে মানুষের হাটা চলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ স্থায়ীভাবে মাটি দিয়ে প্রতিবছর এ সড়ক মেরামত করলেও হারবাং ছড়া দিয়ে প্রবাহিত বন্যায় পুনারায় প্রতি বছর এ অংশটি ভেঙ্গে য়ায়। ফলে উপরোক্ত এলাকার মানুষের সাথে হারবাং বাজারের যাতায়ত বন্ধ হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতি বছর অস্থায়ীভাবে সড়কটি নাবেধে পরিকল্পিত ও স্থায়ীভাবে সড়কের ভাঙ্গন অংশটি মেরামত করলে এদশা হতোনা। তাই এলাকাবাসীর এ ভাঙ্গাটি স্থায়ীভাবে মেরামত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে এ ব্যাপারে হারবাং ইউপি চেয়্যারমেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে সড়কটি সম্পূর্ণরূপে মেরামত করা যায়না। তাই সরকারের উচিৎ পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন