ঈদগাঁওতে গরু চোর সন্দেহে গাড়িসহ ড্রাইভার-হেলফার আটক

নুরুল আজিম
সদর উপজেলার ঈদগাঁও পুলিশ জনতার সহায়তায় গরু চোর সন্দেহে এক মিনি পিকআপসহ ড্রাইভার হেলফারকে আটক করেছে ঈদগাঁও পুলিশ। ৩০ মে রাতে ঈদগাঁও বাসষ্টেশন এলাকা থেকে গাড়িসহ এ দুজনকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। আটকৃতরা হচ্ছে জোয়ারিয়ানালা সিকাদার পাড়া নিবাসী বর্তমানে চৌফলদন্ডী দক্ষিণ পাড়ার মৃত মনির আহমদের পুত্র মনছুর আলম (২৮) এবং ঈদগাঁও উত্তর মাইজ পাড়ার মৃত মুসলেম উদ্দিনের পুত্র নুরুল হক (৪০)।
এদিকে ২৭ মে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাঁহাশিয়াখালী গ্রামের আবু ছৈয়দের পুত্র বেলাল উদ্দিনের ২টি গরু হলে গরু মালিক সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় ওইদিন গভীর রাতে চৌফলদন্ডী বাজার এলাকায় দুটি গরু মিনি পিকআপ থেকে নামিয়ে ফেলে। এদৃশ্য দেখেনে বাজারের এক পাহাড়াদার গাড়ির নম্বরটি লিখে রাখে এবং গরু মালিক বেলালকে দেয়। এর পর থেকে বেলাল তার আত্মীয় স্বজনেরা খুঁজাখুজি করে ঈদগাঁও বাসষ্টেশন এলাকা থেকে ঐ গাড়ী সহ ড্রাইভার-হেলফারকে আটক করে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। বেলাল জানান, হেলফার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে রাতে ঘটনার সত্যতার জন্য চৌফলদন্ডীর পাহাড়াদারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় পরে আবার তাদেরকে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এদিকে গরু চোর আটকের খবর চতুর্থদিতে ছড়িয়ে পড়লে অর্ধসহস্রাধিক লোকজন তদন্ত কেন্দ্রে ভিড় করতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৃহত্তর ঈদগাঁওতে প্রায় দু’শতাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘঠে। গরু মালিকদের দাবী ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই গরু চোরের সিন্ডিকেটের মূলহুতাসহ সকলের পরিচয় বেরিয়ে আসবে। অন্যতায় গরু চোরের ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মনজুরুল কাদের ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কেহ মামলা না করলেও তাদেরকে কোন অবস্থাতে ছেড়ে দেওয়া যাবেনা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলফারের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চুরি হওয়া গরু মালিকদের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। এ ছাড়া ধৃত চোরদের ও মুলহুতাদের (তদন্ত সাপেক্ষে) সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন