ঈদগড়ে বার্মাইয়াদের দা’র কোপে ২ সন্তানের জনক নিহত : আটক ৪

ইব্রাহিম খলিল
কক্সবাজার রামুর ঈদগড় চাইল্ল্যাতলী এলাকায় সংঘবদ্ধ বার্মাইয়াদের হাতে দা’র কোপে নিহত হয়েছেন ২সন্তানের জনক। নিহত ব্যক্তি ঈদগড় কোনার পাড়া বুডিগ্যার শিয়া এলাকার মৃত আবু ছৈয়দের পুত্র নুরুল আজিম (৩০)।

গত ৩১শে মে বিকাল ৪ টায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত ৪জনকে এলাকা বাসীর সহযোগিতায় পুলিশ আটক করে। এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, চাইল্ল্যা তলী এলাকার হামিদ হোসেনের স্ত্রী মরিয়ম খাতুনকে নিহত নুরুল আজিম কুপ্রস্তাব এবং অবৈধ ভাবে ভোগ করার প্রয়াস চালালে তার স্বামী হামিদ হোছন, একই এলাকার মৃত আবদুল মোনাফের পুত্র মতলব, মরিয়মের দেবর মোঃ সেলিম সহ অপর বার্মাইয়া সেলিম মিলে নিহত নুরুল আজিমকে দা’র কোপ দিয়ে তার মাথা সহ গলা কেটে ফেলে। তবে গলার সামান্য চামড়া ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে একই এলাকার হাঙ্গারাঝিরিতে একটি গাছের গুটির সাথে জঙ্গলের ভিতর লুকিয়ে রাখে। ঐ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রায় ২/৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পরিবারের লোকজন তার কোন সন্ধান না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করলে পুলিশের হাতে আটক অপর আসামী চাইল্ল্যা তলী এলাকার মৃত নুর আহমদের পুত্র জোবাইর নিহত পরিবারের লোকজনদের কে তার মৃত্যুর খবর জানান। এই খবর পেয়ে তার আতœীয় স্বজন সহ ঈদগড়ের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মুফিজ তাৎক্ষণিক (২ জুন) ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর সংবাদ দাতা জোবাইরের সহযোগিতায় উপরোল্লিখিত আসামীদের মধ্য থেকে হামিদ হোছন, মোঃ সেলিম, মরিয়মকে এলাকা বাসী আটক করে। এই ব্যাপারে জোবাইর সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় উল্লেখিত ব্যক্তিগণ নিহত নুরুল আজিমকে কেটে ফেলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় মতলবকে হাত কাটা এবং রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ২জুন সকালে জোবাইরের স্বীকারোক্তি মূলক মরিয়মের স্বামী হামিদ হোছন, দেবর মোঃ সেলিম এবং মরিয়মকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। মরিয়ম জানান, ঘটনার দিন আমি আমার পার্শ্ববর্তী বাড়ীতে বিকাল ৪টায় অবস্থান করছিলাম। এই সময় নিহত নুরুল আজিম আমার বাড়ীতে গিয়ে হৈচৈ করা শুরু করলে এবং আমাকে নষ্ট করার উদ্দ্যোশে খোঁজাখুজি করলে পরবর্তীতে এলাকা বাসী আমার স্বামী সহ অন্যান্যদের খবর দিলে তারা এই ঘটনা ঘটায়। তবে তাদের কে তাকে মেরে ফেলার জন্য কেউ বলেনি। তারা কেন এই ঘটনা ঘটালো এখন সেটা আমারও প্রশ্ন? মরিয়মের দেবর আটক মোঃ সেলিম জানান, পলাতক মতলব এবং বার্মাইয়া সেলিম সহ আমরা তাকে হত্যা করেছি সেটা সত্য। উপস্থিত লোকজন এই ঘটনায় জড়িত পলাতক অপর ২ব্যক্তি মতলব এবং বার্মাইয়া সেলিমকে আটক করার জন্য পুলিশের প্রতি দাবী জানান। অন্যদিকে লাশটি পচেঁ গিয়ে দূর্গন্ধ চড়ানো অবস্থায় ময়না তদন্তের জন্য রামু থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। লাশটি উদ্ধারের জন্য রামু থানার ওসি মোকছেদুল মোমিন, ওসি তদন্ত মেসবাহ উদ্দিন, এস.আই কামাল, বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, এ এস আই ফারুক, আলীক্ষ্যং পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ সুলেমান, ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের হাবিলদার মুজিবর রহমান সহ একদল পুলিশ এবং একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থলে ২জুন ১১টায় যান। পরে লাশের শুরত হাল তৈরি করে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার পূর্বক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানান, সঠিক তদন্ত পূর্বক এই ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এলাকার শত শত উপস্থিত জনতা বার্মাইয়ারা এহেন কর্মকান্ড যাতে ভবিষ্যতে আর ঘটাতে না পারে সে ব্যপারে পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক সহযোগিতা কামনা করেন। প্রয়োজনে রোহিঙ্গা গ্রেফতারেরও সহযোগিতা চান। জানা যায়, নিহত নুরুল আজিমের স্ত্রী সহ ২ পুত্র সন্তান রয়েছে। নিহত নুরুল আজিমের স্ত্রী রোজিনা তার স্বামী হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী এবং তার স্বামী হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন