বালুখালীতে নবম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা

র্দুবৃত্ত কর্তৃক আহত মা-মেয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি 

বিশেষ প্রতিবেদক॥ উখিয়ার বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে কমান্ডু স্টাইলে অপহরণের চেষ্টায় ছাত্রীর মা বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করিলে সশস্ত্র অপহরণকারীরা উভয়কে অস্ত্রের মুখে বেদক মারধর করতঃ ঘর থেকে টানা হেঁচড়া করে বাহিরে নিয়ে যায়। মা-মেয়ের শোরচিৎকার করতে থাকলে
অপহরণকারীরা তাদের পরিধেয় জামা কাপড় ও শাড়ী ধরে টানা হেঁচড়া করতে করতে ছিড়ি ফেলে। আশপাশের লোকজন স্কুল ছাত্রী পারভীন আক্তার ও তার মা তৈয়বা বেগমকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, গত  ২১ জুলাই পারভীন আক্তার তার ঘরের বারান্দার পড়ার টেবিলে প্রতিদিনের ন্যায় বসে লেখাপড়া করাকালীন সময়ে কুখ্যাত লম্পট সোনা মিয়ার নেতৃত্বে অপরাপর লম্পটদ্বয় সশস্ত্র অবস্থায় আকষ্মিক ঘরের বারান্দায় প্রবেশ করে। উভয় লম্পট স্কুল ছাত্রী উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং হাতে থাকা অস্ত্রের মুখে টানা-হেঁচড়া করতে করতে ঘরের বাহির নিয়ে যায়। পারভীনের শোর-চিৎকার করতে থাকলে সন্ত্রাসী লম্পটের কবল হতে তার মা তৈয়বা বেগম উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাকেও  বেদক মারধরসহ টানা হেঁচড়া করে। উক্ত স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী পারভীন আক্তার (১৫)-কে  বালুখালী গ্রামের মমতাজ মিয়ার পুত্র কুখ্যাত লম্পট অশিক্ষিত সোনা মিয়া পারভীনকে বিয়ে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পারভীন আক্তার তার ওই প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করায় উক্ত ঘটনার দিন রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় তারাবীহ নামাজের সময় ছাত্রী নামাজ আদায় করতে গেলে ঘরে পুরুষশূন্য সুযোগে এ অপহরণ ঘটনাটি ঘটিয়েছে সন্ত্রাসী লম্পটদ্বয়। সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মা-মেয়েকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর দিন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসের ব্যবস্থাপনা পত্র ও স্কুলের সনদপত্র নিয়ে ছাত্রীর পিতা নূরুল হক বাদী হয়ে নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে উখিয়া থাানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে র্দুবৃত্তরা থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে বাদীকে বাধ্য করছে নানানভাবে।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন