প্রধানমন্ত্রীর সাথে সালাহ উদ্দিন সিআইপি’র বেঈমানির খেসারত চান নেতাকর্মীরা

চকরিয়া-পেকুয়ায় মহাজোটের প্রার্থী পরিবর্তনের বিকল্প নেই

ফরিদুল মোস্তফা খান  (আমাদের সময় ডটকম): দলের চেয়ে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্রিক ভাগ্য পরিবর্তন ও এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সবসময় নিজেকে আড়াল করে রাখার কারণে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি’র সম্রাজ্যে চরম ধস নেমে আসতে শুরু করছে। ফলে চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসনে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য সালাহ উদ্দিন আহমদের বিকল্প অনেক প্রার্থী এখন তৈরি। তৎমধ্যে চকরিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বারবার কারা নির্যাতিত মজলুম জননেতা জাফর আলম এমএ এবং কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের নাম এখন মানুষের মুখে মুখে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাফর আলম এমএ-ই একমাত্র ব্যক্তি যিনি চকরিয়া-পেকুয়া আসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ সাফিয়া খাতুনের সাথে সমন্বয় করে দু’উপজেলার আনাচে-কানাচে ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি মহাজোট নেত্রীর সকল সফলতার খবর ভোটারদের কানে কানে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দফায় দফায় হামলা ও মামলার শিকার হয়েও তিনি একদিনের জন্যও নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে কোথাও যাননি। চকরিয়ার মাটিতে আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জীবন বাজি রেখে তিনি সর্বক্ষণ রাজপথে ছিলেন। পেকুয়া উপজেলা এমন একটি জায়গা যেখানে এক সময় দলীয় নেতাকর্মীদের বসার কোন স্থান ছিল না, এমপি সাফিয়ার সহযোগিতায় তিনি সেখানে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি আওয়ামীলীগ কার্যালয় স্থাপন করেছেন। এছাড়া ব্যক্তি জীবনে সদা হাস্যোজ্জ্বল ও পরউপকারী জাফর আলম এমএ সবসময় স্বাদ আর সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে এলাকায় অবস্থানরতদের দলমত নির্বিশেষে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া এলাকার ধনী-গরীব, রিক্সাওয়ালা, কুলিসহ সবশ্রেণির মানুষের সাথে রয়েছে তার গলায় গলায় ভাব। শুধু জাফর আলমই নয়, তার অনুরূপ চরিত্র রয়েছে কেন্দ্রিয় কৃষকলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের। নির্বাচিত হওয়ার আগে ও পর থেকে তিনি এলাকাবাসীর কাছে সমান জনপ্রিয়। জনশ্রুতি আছে রাজনৈতিক মেধা, প্রজ্ঞা ও ভদ্রতা দিয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে ওঠে আসা উক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সমাজের সবশ্রেণির মানুষের সাথে মিশতে পারেন। ফলে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপিকে আর মনোনয়ন না দিয়ে উল্লেখিত দু’জনের কাউকে যদি নেত্রী মনোনয়ন দেন, তাহলে সেখানে তারা বিজয়ী লাভ করবে বলে শতভাগ আশাবাদি নেতাকর্মীরা। কারণ এ দু’প্রার্থী যেকোন পরিস্থিতিতে সালাহ উদ্দিন আহমদের পরিবর্তে দলের টিকেটে নির্বাচন করলে তার চেয়ে অনেক বেশি ভোট পাবেন। কেননা তারা খেয়ে না খেয়ে গত ৫ বছরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা ও গ্রামে গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন, বিশেষ করে মহাজোট নেত্রীর উন্নয়নের বার্তা পৌঁছাতে পেরে সময়ের ব্যবধানে সেখান থেকে বারবার আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি’র সাজানো সম্রাজ্যে হানা দিতে সক্ষম হয়েছে। এ কারনে এই মুহুর্তে মহাজোট যদি আগের মতো সালাহ উদ্দিন সিআইপি’কে দলীয় মনোনয়ন দেন, তিনি গত ৩ বারের চেয়ে আরো চরম অপমানজনক হারবেন তো হারবেন, চকরিয়া-পেকুয়ায় তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের যবনীকাপাত হবে বলে খোদ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন হেভিয়েট নেতাকর্মী জানান, ব্যক্তি সালাহ উদ্দিন সিআইপি মূলতঃ প্রধানমন্ত্রীর বদোন্ন্যতায় রাজনীতি করলেও তিনি সম্পূর্ণ একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি। ব্যবসা-বাণিজ্য করে নিজের আখের গোছাতে সবসময় ব্যস্ত এই সালাহ উদ্দিন আহমদের উচ্চ বিলাসী জীবন-যাপনের কারনে এমপি হওয়া তো দূরের কথা, তার নিজ দলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রান্তিক পর্যায়ের নেতাকর্মী এমনকি বয়োজৈষ্ঠ্য মুক্তিযোদ্ধারাও তার ধারে কাছে ভিড়তে পারেন না। শুধু তাই নয়, আওয়ামী সভানেত্রীর সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের দিকটি কাজে লাগিয়ে হলেও এ পর্যন্ত তিনি এলাকায় কিছু না করে শুধুই নিজের পদ-পদবী আঁকড়ে ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়ে ক্ষান্ত হননি, গত ৫ বছরে সরকারের একটি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডও এলাকায় তুলে ধরেননি।
ব্যক্তি জীবনে কমার্শিয়াল ইম্পোর্টেন্ট পারসন (সিআইপি) পদ মর্যাদার ব্যবসায়ী হওয়ায় সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি এলাকায় জামায়াত-বিএনপির সাথে আঁতাতের রাজনীতি করেন বলেও জেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা অভিযোগ করে জানান, নেত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপিকে ৩ বার মনোনয়ন দিয়ে চেয়েছিলেন পয়সাওয়ালা লোক এলাকায় তিনি দলের জন্য কিছু করতে পারবেন। 
কিন্তু দূর্ভাগ্য, পরিচ্ছন্ন কাপড়-চোপড় ও আলিশান গাড়িতে চড়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখা এই সালাহ উদ্দিন সেই সালাহ উদ্দিন নন, যে সালাহ উদ্দিন তার বাড়ির আশপাশের একজন ক্ষুধার্ত মানুষকে স্বার্থ ছাড়া এক মুঠো অন্ন দিয়েছেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। এ কারনে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী হলেও সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপিকে নিজ গ্রামের ৮০ শতাংশ লোক ঘৃণা করেন। এর প্রমাণ হচ্ছে- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মতো এত বৃহৎ রাজনৈতিক দলের টিকেটে নৌকা প্রতীক নিয়ে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে বারবার নির্বাচন করে চরম অপমানজনক পরাজয় তিনি শুধু নিজের জন্য বয়ে আনেননি, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তার মতো অযোগ্য-অদক্ষ একজন ব্যক্তির কারণে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার মানসম্মানও চকরিয়া-পেকুয়ায় ধুলিস্যাত হয়েছে।
এ অবস্থায় চকরিয়া-পেকুয়ার মহাজোটের প্রান্তিক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা করেছেন, আর ভুল না করে প্রয়োজনে এ আসনটিতে আপনি নিজে কিংবা জয়কে দিয়ে নির্বাচন করালে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। আবার এছাড়া এমন কোন উপায়ও নেই যে, কক্সবাজারের সবচেয়ে ঊর্বর এলাকা চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসনটি বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস সালাহ উদ্দিন আহমদের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে। অতএব, যেখানে কক্সবাজারের রাজনীতিতে অত্যন্ত বিচক্ষণ ও মেধাবি হিসেবে খ্যাত বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ কিংবা তাঁর স্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ নির্বাচন করবেন, সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়ী ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন সিআইপিকে দিয়ে নির্বাচন করাটা হবে মহাজোটের জন্য সবচেয়ে বড় একটি ভুল। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে চকরিয়া-পেকুয়ার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা প্রত্যাশা করেন, নেত্রী এখানে রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে বড় বেশি কিছু না হলেও অন্তত সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি’র পরিবর্তে উপজেলা চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম অথবা সেখানকার সাবেক পৌর মেয়র দফায় দফায় কারা নির্যাতিত জননেতা জাফর আলম এমএ-কে মনোনয়ন দিলেও অন্তত সিআইপি সালাহ উদ্দিনের চেয়ে বেশি ভোট তারা শুধু আনতে পারবেন তা বড় কথা নয়, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিপক্ষের শক্ত প্রার্থীর সাথে তারা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও করতে পারবেন।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপির অজানা আরো হরেক কুর্কীতি। জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি নিজের নামে ৩টি গ্যাসের সিএনজি স্টেশনের অনুমোদন নেন। তৎমধ্যে কক্সবাজার বাস টার্মিনালে বর্তমানে একটি গ্যাসের সিএনজি স্টেশন চালু করলেও এখনো তার কাছে আরো ২টি সিএনজি স্টেশনের রাষ্ট্রীয় অনুমোদন রয়েছে। 
অভিযোগ উঠেছে, দলের চেয়ে নিজেকে বেশি ভালবাসা সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি সরকারের গত ৫ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তদবির বাণিজ্য করে কাড়ি কাড়ি টাকাও কামিয়েছেন। এ কারনে কক্সবাজারে সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী কিংবা অন্য কেউ আসলে আঁঠার মতো সালাহ উদ্দিন আহমেদ তাদের সাথে লেগে থাকতেন। শুধু তাই নয়, সালাহ উদ্দিন সিআইপি’র বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনে বারবার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তার কারনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন করার দলীয় সভানেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও বাস্তবায়ন না হওয়ার অভিযোগ তুলে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নিবেদিত কর্মী জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ তো এখন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। সম্মেলন করে আবার সাধারণ সম্পাদক কিংবা একটা কিছু হবেন, তাতো দূরের কথা। তাই জেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি কক্সবাজার আওয়ামীলীগের সম্মেলন হউক, সেই প্রত্যাশা নানান কারিশমায় তিনি সহ দলের আরো দু’একজন গারোলি নির্ভর রাজনীতিবিদ নামের কলংকরায় হতে দিচ্ছেন না। 
সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি’র বিরুদ্ধে শুধু এই অভিযোগ নয়, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের সবচেয়ে আলোচিত সংবাদ হচ্ছে, তিনি কক্সবাজারবাসীর জন্য দেয়া প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নাকি এক বিএনপি নেতাকে বিক্রি করে দিয়ে দলীয় সভানেত্রীর সাথে চরম বেঈমানি করেছেন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনটি তিনি যাকে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি হচ্ছেন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের ব্যবসায়ীক পার্টনার লায়ন মুজিবুর রহমান। 
এ অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার বেঈমানির তড়িৎ শাস্তি প্রত্যাশা করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবীর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী কক্সবাজারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেন। তাতে জেলাব্যাপী আওয়ামীলীগ তথা মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়। আর ব্যবসায়িক স্বার্থে কোন নেতা তা অন্যদলের কাছে বিক্রি করে দিলে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবে। ব্যর্থ  হবে প্রধানমন্ত্রীর মহতি উদ্যোগ। 
কক্সবাজার -৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উখিয়া হাই স্কুল মাঠে স্মরণ অতীত কালের সর্ববৃহৎ জনসভায় কক্সবাজারে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এতে জনসভায় উপস্থিত লাখো জনতা করতালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানায়। আনন্দিত হয় কক্সবাজারের ২৫ লক্ষ জনসাধারণ । শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে কোন বিএনপি নেতাকে তা বিক্রি করে দিলে জনসাধারণ তথা প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রতারণার শামিল। আমরা তার এই উদ্যোগ কোন দিন সফল হতে দেবনা ।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন ফরাজী বলেন, আমরা জানি লায়ন মুজিব বিএনপির একজন নেতা। তাকে আমাদের সরকারের সফলতা অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করে বিএনপি-জামায়াতের কাছে আমাদের দলকে ছোট করেছেন। আমরা সালাহ উদ্দিন সিআইপি সাহেবের এই কর্মকান্ডকে ঘৃণা জানাচ্ছি।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ স¤পাদক আবুল কাশেম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ বছরের সফলতা জনগণের কাছে পৌঁচতে না দেওয়ার জন্য একটি মহল সবসময় তৎপর । নানা অপ-প্রচারের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত আমাদের প্রিয় নেত্রীর সফলতাকে  ম্লান করার চেষ্টা করছে। আমাদের দলের ভিতরেও তাদের এজেন্টরা ঘাপটি মেরে আছে। আমার মনে হয় এটিও সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচীর মাধ্যমে এই ঘৃণ্য অপতৎপরতা প্রতিহত করা হবে।
এদিকে, অভিযুক্ত কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি’র সাথে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা নিসন্দেহে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী। কারণ, নেত্রী প্রদত্ত কক্সবাজারবাসীর জন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টি আমি কাউকে বিক্রি করিনি। এছাড়া সরকারি দলের নেতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে একজনে কেন ৩টি গ্যাসের সিএনজি স্টেশন নিয়েছেন, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এবং ব্যস্ততার কারনে অন্যান্য প্রসঙ্গগুলো নিয়েও মুঠোফোনে আলাপ সম্ভব নয় বলে জানিয়ে প্রতিবেদককে দেখা করতে বলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন