অধিবেশনের প্রথম দিনেই সংসদে যাবে বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট : 
সোমবার শুরু হচ্ছে জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম দিনেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সংসদে যোগ দিচ্ছে। এ জন্য ওই দিন বিকেল চারটায় সংসদ ভবনে বিএনপির সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠক শেষে বিএনপির সাংসদেরা অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে দলীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। 


দলীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, সদস্যপদ রাখতে হলে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে যোগ দেওয়া ছাড়া বিএনপির কোনো উপায় নেই। তবে এ অধিবেশনে বাজেটের চেয়ে নির্বাচনকালীন সরকারপদ্ধতি ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনাকে বেশি গুরুত্ব দেবে বিএনপি।

তবে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন ‘নির্দলীয়’, ‘অন্তর্র্বতী’ বা ‘তত্ত্বাবধায়ক’ সরকারের বিষয়ে কোনো রূপরেখা দেওয়া হবে না। দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের আশঙ্কা, সরকারের অবস্থান না জেনে আগ বাড়িয়ে প্রস্তাব দেওয়া হলে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সরকার তা নাকচ করে দিলে, সেটা বিএনপির জন্য রাজনৈতিক পরাজয় হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে চাইলে বিএনপি রূপরেখা দেবে। অথবা সরকারের সঙ্গে সংলাপ হলে সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে রূপরেখা দেওয়া হবে। এর আগে নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা ঠিক করতে বিএনপির পক্ষ থেকে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। এ জন্য দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংলাপের সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় সেটা আর এগোয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি কোনো অনড় অবস্থানে থাকতে চায় না। তারা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়নি। তা ছাড়া দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্যও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের। তিনি বলেন, বিএনপি দেখতে চায় সরকার কতটুকু ছাড় দেয়। এরপর সেটা মানা না-মানার বিষয়টি বিএনপির সামনে আসবে।

তবে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা এ-ও মনে করেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কাঠামো ছিল, সেটাই সঠিক। যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিচার বিভাগকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার কথা বলা হয়েছে, তাই প্রধান উপদেষ্টা পদে কাকে বসানো যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, বিরোধী দলের সাংসদেরা টানা ৮৩ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই সদস্যপদ রক্ষায় এই অধিবেশনের প্রথম সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের যোগ দিতেই হবে। তা না হলে সংবিধান অনুযায়ী টানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ছাড়া বাকি সাংসদদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। অসুস্থতার কারণে ইতিপূর্বে কায়কোবাদের ছুটি মঞ্জুর করেছে সংসদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন