প্রশ্ন ফাঁস: অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্ট
বাতিল হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে অগ্রণী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ। এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বলরাম পোদ্দার জানান, “সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছিল তা সত্য।
আমরা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হাতে পেয়ে মিলিয়ে দেখেছি। যে প্রশ্নে পরীক্ষায় হয়েছে তার সঙ্গে ওই প্রশ্নের মিল রয়েছে।”
তিনি বলেন, “কোনোভাবেই এ পরীক্ষা টেকানো সম্ভব নয়। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের বাইরে আছেন, উনি দেশে আসলেই বোর্ড মিটিংয়ের পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি এ পরীক্ষা বাতিল করা হবে।” বলরাম পোদ্দার বলেন, “আগামী ১২ জুন পরবর্তী বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেই দিনই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের একটি কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির ওই শিক্ষকরাই এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন পরিচালনা পর্ষদের এই সদস্য। তিনি আরো বলেন, “আমরা চাচ্ছি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে জড়িতদের খুঁজে বের করতে। তবে যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ এর সঙ্গে সরকারের ভাবমূর্তি জড়িত।” একটি চক্র সরকারের ইমেজ নষ্ট করতে এই কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাই দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের জন্য এক ঘণ্টার এমসিকিউ পদ্ধতির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার দিন সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে এমনকি বিভিন্ন ফটোকপির দোকানেও ওই প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। এছাড়া পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনের এসএমএস-র মাধ্যমে উত্তরপত্র সরবরাহ করারও অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক হাজার শূন্য পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় ৪৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন